Type Here to Get Search Results !

লোকান্তরে যে সব অলোচিত ব্যক্তিত্ব: ২০২১

গোলাম মোস্তফা (৩০ নভেম্বর ১৯৪১-৯ জুলাই ২০২১): একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী। গোলাম মোস্তফা কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

কুর্ট ওয়েস্টারগার্ড (১৩ জুলাই ১৯৩৫-১৪ জুলাই ২০২১): মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করা বিতর্কিত ডেনিশ কার্টুনিস্ট।

রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক (১১ আগস্ট ১৯৫০-১৫ জুলাই ২০২১): শেখ মুজিবুর রহমানের 'বঙ্গবন্ধু' উপাধির প্রস্তাবক। তিনি ৩ নভেম্বর ১৯৬৮ ঢাকা কলেজ শাখা, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্যাডে `আজব দেশ' শিরোনামে নিজের সারথী (ছদ্মনাম) নামে প্রথম বঙ্গবন্ধু 'শব্দটি ব্যবহার কারেন।

মৃণাল কান্তি দত্ত (১ জানুয়ারি ১৯৪৪-১৬ জুলাই ২০২১): স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী, কৃতি নাট্যশিল্পী ও নাট্যনির্দেশক। তার জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার নাগের গ্রামে। মৃণাল কান্তি দত্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সহপাঠী ছিলেন।

ফকির আলমগীর (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০- ২৩ জুলাই, ২০২১)

গণসংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী। তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা শুরু করেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল।

ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এবং উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে তিনি শামিল হন তার গান দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ— চেনা চায়না (১৯৮৪), মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজয়ের গান, গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান, অমর কথা, হৃদয় পটে, স্মৃতি আলাপনে মুক্তিযুদ্ধ, আবহমান বাংলার লোকসংগীত। সংগীতের বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

তার ১০ টি জনপ্রিয় গান

  • ও সখিনা গেছস কিনা ভুইলা আমারে
  • মায়ের একধার দুধের দাম
  • মন আমার দেহঘড়ি
  • আহারে কালু মাতব্বর
  • সান্তাহার জংশনে দেখা 
  • চল সখিনা দুবাই যাব
  • কালো কালো মানুষের দেশে
  • ঘর করলাম নারে আমি
  • নাম তার ছিল জন হেনরি
  • বনমালী তুমি
ফকির অলমগীর ২৩ জুলাই ২০২১ ইংরেজী মৃত্যুবরণ করেন।(alert-success)

ড. আবদুল মতীন (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪-১৬ জুলাই ২০২১): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের সাবকে অধ্যাপক। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী (১৯৪৫-১৭ জুলাই ২০২১): বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (IGP) ও সাবেক সচিব। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী বুরহান সিদ্দিকী নামেও পরিচিত। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮-৭ জুন ২০০০ পর্যন্ত পুলিশের ১৬তম IGP হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী এলকে সিদ্দিকীর ভাই।

জহরত আরা (মৃত্যু ১৯ জুলাই ২০২১): বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের অভিনেত্রী। আবদুল জব্বার খান পরিচালিত মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ৩ আগস্ট ১৯৫৬।

বিনয় কুমার দেওয়ান (৯ মার্চ ১৯২৫-২১ জুলাই ২০২১): সাবেক মন্ত্রী। তিনি রাঙামাটির বড়াদমে জন্মগ্রহণ করেন।  

ভূঁইয়া ইকবাল (২২ নভেম্বর ১৯৪৬-২২ জুলাই ২০২১): চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি ভোলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা প্রবন্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

নূরুল হক ১৯৪৪-২২ জুলাই ২০২১): কবি ও মুক্তিযোদ্ধা। কবি নূরুল হক নেত্রকোনার মদন উপজেলার বালালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বামপন্থী গেরিলা বাহিনীর হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেন।

স্টিভেন ওয়াইনবার্গ (৩ মে ১৯৩৩-২৩ জুলাই ২০২১): নোবেলজয়ী কিংবদন্তি পদার্থবিজ্ঞানী। The First Three Minutes: A Modern View of the Origin of the Universe গ্রন্থটি তাকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তিনি ১৯৭৯ সালে আব্দুস সালামের সঙ্গে নোবেল লাভ করেন।

মুহাম্মদ আমির (মৃত্যু ২৩ জুলাই ২০২১): বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেয়া নওমুসলিম। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সাবেক শিবসেনা বলবীর সিং বাবরি মসজিদ ভাঙায় অংশ নেন। জুন ১৯৯৩ ভারতীয় আলেম মাওলানা কলিম সিদ্দিকির কাছে বলবীর শিং ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহাম্মদ আমির নাম গ্রহণ করেন।

অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম (১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২-২৪ জুলাই ২০২১): সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী। তিনি রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। দু'বার সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

অধ্যাপক মর্তুজা আলী (মৃত্যু ২৫ জুলাই ২০২১): রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য।

লুৎফর রহমান বীনু (১৯৫৫-২৬ জুলাই ২০২১): প্রবীণ ফটো সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত ফটো সাংবাদিক ছিলেন।

খোরশেদ আলম (১৫ জানুয়ারি ১৯৩৫-২৮ জুলাই ২০২১): বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পঞ্চম গভর্নর। খোরশেদ আলম নরসিংদী জেলার রামনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০ ডিসেম্বর ১৯৯২-২১ নভেম্বর ১৯৯৬ পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংকে মুদ্রানীতি কমিটি গঠন করেন।

সৈয়দ আব্দুস সামাদ (১৯৪৩-২৮ জুলাই ২০২১): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাক্তন একান্ত সচিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার জন্ম ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। তিনি ১৯৯৭-২০০১ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কমোডর মুজিবুর রহমান সিজার (মৃত্যু ২৮ জুলাই ২০২১): বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (BCB) সাবেক সভাপতি ও জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম ম্যানেজার।

অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিব (মৃত্যু ২৯ জুলাই ২০২১): রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) সাবেক উপাচার্য। তিনি ৩০ এপ্রিল ২০১৭-২৯ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক আলী আশরাফ (১৯৪৭-৩০ জুলাই ২০২১): কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার। তার জন্ম কুমিল্লার চান্দিনার গল্লাই গ্রামে।


সাইমন ড্রিং (১১ জানুয়ারি ১৯৪৫-১৬ জুলাই ২০২১)

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, খ্যাতিমান ব্রিটিশ সাংবাদিক। তিনি একমাত্র সাংবাদিক যিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের ভয়াবহ নৃশংসতা শুরু থেকেই কভার করেন।

৬ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় আসেন সাইমন ড্রিং। তার Tanks Crush Revolt in Pakistan শিরোনামে সংবাদটি The Daily Telegraph পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ৩০ মার্চ ১৯৭১। এটিই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ- সংক্রান্ত বহির্বিশ্বে প্রচারিত প্রথম সংবাদ। খবরটি ছাপা হওয়ার পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিদেশিদের টনক নড়ে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে এ প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ভূমিকা রাখে। গুণী এ সাংবাদিক বিবিসি, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ, ওয়াশিংটন পোস্টসহ বিশ্বের বড় বড় সংবাদ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পান। যেমন- ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার-১৯৭১।

সাইমন ড্রিংয়ের হাত ধরে ২০০০ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির যাত্রা শুরু। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা দেয়। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে।(alert-success)


 অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লাহ (মৃত্যু ৩ আগস্ট ২০২১): শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর শাদাত উল্লাহ কুমিলা জেলার দাউদকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন (৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯-৭ আগস্ট ২০২১): পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (IGP)। তিনি এপ্রিল-৭ মে ২০০৫ IGP' র দায়িত্ব পালন করেন।

নাজমা চৌধুরী (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২-৮ আগস্ট ২০২১): শিক্ষাবিদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তার জন্ম সিলেটে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৭ সালে UGC তাকে ‘রোকেয়া চেয়ার' সম্মাননায় ভূষিত করে ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

এবনে গোলাম সামাদ (১৯২৯-১৫ আগস্ট ২০২১): বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও কলাম লেখক। তিনি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (৮ অক্টোবর ১৯৫৩-১৯ আগস্ট ২০২১): ইসলামি পণ্ডিত, বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর। তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, চট্টগ্রাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামের এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।


জার্ড মুলার (৩ নভেম্বর ১৯৪৫-১৫ আগস্ট ২০২১) 

‘গ্রেটেস্ট গোলস্কোরার’ ও ‘দ্য বোম্বার নামে পরিচিত জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার।

  • ক্যারিয়ার          : ১৯৬৩-১৯৮১
  • ম্যাচ                 : ৫৫৫
  • গোল                : ৪৮৭
  • জাতীয় দল        : ১৯৬৬-১৯৭৪  
  • ম্যাচ                 : ৬২
  • গোল                : ৬৮

⚽দলীয় অর্জন     :

  • বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (১৯৭৪)।
  • ইউরো চ্যাম্পিয়ন: ১৯৭২
  • বায়ার্ন মিউনিখ: বুন্দেসলিগা: জার্মান কাপ: ৪
  • ইউরোপিয়ান কাপ: ৩
  • কাপ উইনার্স কাপ: ১  
  • ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ: ১

⚽ব্যক্তিগত অর্জন :

  • ব্যালন ডি'অর: ১৯৭০
  • জার্মানির সেরা ফুটবলার: ১৯৬৭ ও ১৯৬৯
  • বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ১৯৭০
  • ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু: ১৯৭০ ও ১৯৭২

মুলারের যত রেকর্ড: বুন্দেসলিগায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৩৬৫)। সাতবার বুন্দেসলিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৪ গোল নিয়ে ১৯৭৪ ২০০৬ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও ছিল মুলারের দখলে। ১৯৭২ সালে ৬০ গোল করেন মুলার। ২০১২ সালে ৯১ গোল করে রেকর্ড ভাঙেন লিওনেল মেসি।(alert-success)

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.